29. আমার সঙ্গে একজন ছেলের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, এবং ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর আমরা গোপনে বিয়ে করি। পরে পারিবারিক চাপে আমাদের ২৯ অক্টোবর ২০২৩ জোর করে ডিভোর্স পেপারে সই করানো হয়, পেপারটিতে লেখা ছিলো যে আমার স্বামী আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে পারেনা আমি তার সাথে ভালো নেই তাই আমি তাকে তালাক দিচ্ছি-কিন্তু এসবের কোনোটিই সত্য নয়, আমরা কেউই ইচ্ছা করে সই করিনি। এরপর আমাদের যোগাযোগ গোপনে চলতে থাকে। প্রায় অনেক মাস আগে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়, এবং সেই সময় আমার স্বামী রাগ করে আমাকে মেসেজে লিখে পাঠায় “তালাক, তালাক, তালাক”। তবে এখন সে বলছে, তার মনে নেই সে এই কথাগুলো কখন লিখেছে — সে তালাক দেওয়ার কথা মনে করতে পারছে না। আমার প্রশ্ন হলো: 1. এই লিখিত মেসেজে “তালাক, তালাক, তালাক” বলাটা কি ইসলামি শরিয়তে বৈধ তালাক হিসেবে ধরা হবে? 2. যদি স্বামী নিজেই মনে করতে না পারে সে এই কথা লিখেছে বা বলেছে — তবে কি নিয়তের অনুপস্থিতিতে তালাক কার্যকর হয় না? 3. এই তালাক যদি বৈধ হয়, তাহলে কি এটি তিন তালাক হিসেবে গণ্য হবে? 4. আমাদের বিয়েটা কি এখনো ইসলামি দৃষ্টিতে বৈধ/হালাল আছে, নাকি ভেঙে গেছে? 5. যদি বিয়েটা ভেঙ্গে গিয়ে থাকে তাহলে আমরা ভিডিও কলে দুজন সাক্ষী রেখে মোহরানা ধরে কাজি ছাড়া বিয়ে করলে কি আমাদের সম্পর্ক হালাল হবে? 6.যদি আমাদের তালাক হয়ে গিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা পুনরায় আমাদের সম্পর্ক হালাল করতে চাই এক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক হালাল করার সহিহ উপায় কি? আমি একজন মুসলিম নারী হিসেবে সত্য জানতে চাই এবং ইসলামের বিধান অনুযায়ী চলতে চাই। অনুগ্রহ করে শরিয়তের আলোকে আমার এই পরিস্থিতির সঠিক ব্যাখ্যা ও ফতোয়া দিন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ এ ২:০০ PM